অনলাইন ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জে র্যাব-১২ সদর কোম্পানির অভিযানে ৬৬২ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ কেজি গাঁজাসহ ০৫ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, ০১টি ট্রাক ও ০১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
র্যাব-১২ সদর কোম্পানি, সিরাজগঞ্জ এর আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় একাধিক অস্খায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গত ০৪ জুলাই ২০২৪ খ্রি. রাত ২০.০০ ঘটিকায় ‘‘সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন ২নং বাগবাটি ইউনিয়নের ফুলকুচা এলাকায়” রেজিস্ট্রেশন বিহীন একটি কাভার্ড ভ্যান হতে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ১৫১ বোতল ফেনসিডিল ও রাত ২১.১০ ঘটিকায় “সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানাধীন ঘুরকা বেলতলা বাজার এলাকায় ০১টি ভুট্টা ভর্তি ট্রাক যার রেজিঃ নাম্বার ঢাকা মেট্রো-ট-২০-৪৪৭৬’’ হতে ৫১১ বোতল ফেনসিডিল এবং অদ্য ০৫ জুলাই ২০২৪ খ্রি. ভোর ০৪.২৫ ঘটিকায় ‘‘ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন হাজীপুর এলাকায়’’ একটি যাত্রীবাহী বাস হতে ১২ কেজি গাঁজা, সর্বমোট ৬৬২ বোতল ফেনসিডিল ও ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে আসামি ১। মোঃ মোজাহার শেখ (৩১), পিতা-মোঃ বক্কার শেখ, সাং-খাজানগর (কাতলমারি), থানা-সদর, জেলা-কুষ্টিয়া, ২। মোঃ আব্দুল মোনা (১৯), পিতা-মোঃ নুর মোহাম্মদ, সাং-মদনপুর, থানা-আদিতমারী, জেলা- লালমনিরহাট, ৩। মোঃ আনিছুর রহমান (৩৫), পিতা-মৃত কামাল হোসেন, সাং-কেদার (খাঁ পাড়া) , থানা-কচুকাটা, জেলা-কুড়িগ্রাম, ৪। মোঃ নিজাম উদ্দিন(৪০), পিতা-মোঃ মঈন আলী, সাং-কাঠগিরি, থানা-ভুরুঙ্গামারী, জেলা-কুড়িগ্রাম এবং ৫। মোঃ সাদ্দাম হোসেন(৩০), পিতা-তমছের আলী, সাং-দক্ষিন বলদিয়া (কুমারটারী), থানা-কচাকাটা, সর্ব জেলা-কুড়িগ্রামদেরকে আটক করা হয়।
এছাড়াও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে থাকা মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত ০৮টি মোবাইল ফোন, নগদ ৬,৮৯০/- টাকা, ০১টি ট্রাক এবং ০১টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য অনুসন্ধান চলমান আছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলার সদর ও সলঙ্গা থানা এবং বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।